[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8- নবম শ্রেণী বাংলা

 

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8- নবম শ্রেণী বাংলা (Allindjob.com)

Model Activity Task

Class 9 (নবম শ্রেণী)

Bengali (বাংলা ) 

Part 8

[caption id="attachment_5043" align="aligncenter" width="640"][Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined [Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined[/caption]

 

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : 

১.১ ঈশান হলাে—

ক) উত্তর-পূর্বকোণ 

খ) উত্তর-পশ্চিম কোণ 

গ) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ

ঘ) পশ্চিম কোণ 

উত্তর: ক) উত্তর-পূর্বকোণ

১.২ ‘আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?’ – প্রশ্নটি করেছে

ক) সূচক 

খ) জানুক 

খ) ধীবর

ঘ) রাজশ্যালক 

উত্তর: খ) ধীবর

১.৩ ‘বন্ধুগণ হাসবেন না।’ – একথা বলেছে

ক) ইলিয়াস 

খ) শাম-শেমাগি 

গ) মহম্মদ শা

ঘ) মহম্মদ শার জনৈক আত্মীয় 

উত্তর: ক) ইলিয়াস

১.৪ ‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ। বক্তার লাভ হয়েছিল

ক) পাঁচ টাকা 

খ) দশ টাকা 

গ) পনেরাে টাকা

ঘ) কুড়ি টাকা 

উত্তর: খ) দশ টাকা

১.৫ ‘নােঙর’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত –

ক) কুসুমের মাস 

খ) শাদা মেঘ কালাে পাহাড়

গ) পাতাল কন্যা

ঘ) ছায়ার আলপনা 

উত্তর: খ) শাদা মেঘ কালাে পাহাড়

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

দশম শ্রেনীর সমস্ত বিষয় 

[ninja_tables id="4297"]

Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8

নবম শ্রেনীর সমস্ত বিষয় 

[ninja_tables id="4432"]

Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8

২. কম-বেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে :

২.১ … প্রজা চমকিত।’ – প্ৰজা চমকিত কেন? 

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি থেকে সংগৃহীত হয়েছে। যেটি চন্ডীমঙ্গল কাব্য গ্রন্থের আখেটিক খন্ড এর অন্তর্গত।

     প্রজারা চমকিত কারণ কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাতের ফলে এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপরে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তা দেখে প্রজারা চমকৃত হয়েছিল।

২.২ ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের বাড়ি কোথায়? 

উত্তর: মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক অভিজ্ঞানম শকুন্তলম থেকে আলোচ্য ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ টি সংগৃহীত হয়েছে।

      ধীবর সক্রাবতারে থাকে অর্থাৎ সক্রাবতারে তার বাড়ি।

২.৩ ‘ইলিয়াস তাে ভাগ্যবান পুরুষ’– কারা একথা বলত?

উত্তর: উদ্ধৃত বাক্যটি লিও টলস্টয় -এর লেখা ইলিয়াস নামক গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। ইলিয়াসকে ভাগ্যবান বলতো ইলিয়াসের প্রতিবেশীরা।

২.৪ ‘মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা। – কখন এমনটি ঘটেছে? 

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। কথকের মনে মাস্টারমশাইয়ের কথা এসেছিল যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাস এসেছিল।

২.৫ … বিরামহীন এই দাঁড় টানা।’ – কবি দাঁড় টানাকে ‘বিরামহীন’ বলেছেন কেন? 

উত্তর: আলোচ্য অংশটি মিতভাষী কবি অজিত দত্তের লেখা সাদা মেঘ কালো পাহাড় কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত নম্বর কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

     কবি বিরামহীন দাঁড় টেনে নৌকাটিকে উদ্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান। তটের কিনারে নোঙরের কাছিতে বাঁধা পড়েছে নৌকাটি। দূর দেশে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ব্যাকুল কবির মন মানতে চায়না। অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে কবির ভাবনা অজানা লোকে পৌঁছতে চায়। তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দার টেনে  চলেছেন।

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

২.৬ ‘হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন’ – কোন্ চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন? 

উত্তর: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশ টি গৃহীত। ভাষা নিজস্বতা হল আত্মনির্ভরশীল থাকা। কিন্তু লেখক দেখেছে ভাষার মধ্যে বিভিন্ন বিভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথা প্রবন্ধিক বলেছেন।

২.৭ এরই মাঝে বাংলার প্রাণ’ – কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন? 

উত্তর: ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ-নরম ধানের গন্ধ, কলমি শাকের ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শহরের বন, চাঁদা সরপুঁটি মাছ এদের মৃদু আঁশটে ঘ্রাণ, কিশোরের পায়ে গলার মুথা ঘাস, লাল বট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা-এই সমস্ত কিছুর মাঝেই বাংলা প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন।

২.৮ এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে’ – পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী? 

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দের গৃহ বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবেল এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।

২.৯ ‘যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাঁড়া’ – সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?

উত্তর: ‘আবহমান’ কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উঠানের লাউ মাচাটার পাশে দাঁড়ালে দেখা যাবে-ছোট একটা ফুল সন্ধ্যার বাতাসে ক্রমাগত দুলছে।

২.১০ ‘তােমার বাড়ি কোথায়?’ – রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল? 

উত্তর: রাধারানী বলেছিল আমার বাড়ি শ্রীরামপুর।

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে :

৩.১ ‘আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে। – কোন্ বাণিজ্য-তরী? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন? 

উত্তর: বাণিজ্য ও ব্যবসার সঙ্গে লাভ-লোকসানের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। জীবিকার জালে আটকে পড়েছে আমাদের জীবন। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সওদাগর বানিজ্য-তরী নিয়ে পাড়ি দিতে দূর দেশে। পণ্যের আমদানি রপ্তানি সঙ্গে সংস্কৃতির আদান-প্রদান চলত। খুবই সাধারণ সওদাগর নন তাই তার চরিত্রে রয়েছে সাহিত্য সম্ভার। সেই স্বপ্ন কল্পনা সাহিত্য ভরা-তরী নিয়ে কবি পাড়ি দিতে চান সাত সমুদ্র পাড়ে। দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে দিতে চান তাঁর সৃষ্টিকে। তাই এখানে বাণিজ্য-তরীর প্রসঙ্গ এসেছে।

৩.২ ‘সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল। – প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন? 

উত্তর: উদ্ধৃতাংশ টি সৈয়দ মুস্তাফা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে

সংস্কৃত ভাষার আত্মনির্ভরতার কারণ:-ভাষাবিদ প্রবন্ধে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ভাষা নিয়ে চর্চার মধ্য দিয়ে লক্ষ্য করেছিলেন-নতুন কোনো চিন্তা, অনুভূতি বা বাস্তবকে বোঝানোর জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা অহেতুক অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করে না। সংস্কৃত ভাষায় একমাত্র নিজস্ব ধাতু, শব্দ একটু অদলবদল করে সংস্কৃত ভাষা নতুন করে তৈরি করতে পারে। এই বিশেষ ক্ষমতার জন্য প্রাবন্ধিকের মতে, সংস্কৃত স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল ভাষা।

৩.৩ ‘আমি এই ঘাসে বসে থাকি – কোন্ সময়ে কবি ঘাসে বসে থাকেন? তখন প্রকৃতির কেমন রূপ তার চোখে ধরা পড়ে?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘আকাশের সাতটি তাঁরা’ কবিতায় যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠে তখন কবি ঘাসের উপর বসে থাকেন । দিবসের অবসানে যখন সন্ধ্যা শান্ত , রমণীয় হয়ে বাংলার বুকে নেমে আসে, তখন কবি বুঝতে পারেন এক কেশবতী কন্যার আগমন বার্তা । সেই নারী যেন চুল দিয়ে জাম কাঠাল – হিজলের বনে স্নেহচুম্বন দেয় । তিনি টের পেয়ে যান নরম ধানের গন্ধ বা কলমির ঘ্রাণে , পুকুরের জলে বা হাঁসের পালকে পল্লিবাংলার আসল রূপ লুকিয়ে আছে ।

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

৩.৪ ‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।– উদ্ধৃতাংশে নটেগাছের প্রসঙ্গ উত্থাপনে ‘আবহমান’ কবিতায় ‘রূপকথা’র আবেশ কীভাবে রচিত হয়েছে, বিশ্লেষণ করাে। 

উত্তর: নটেগাছ মুড়ানোর প্রসঙ্গ বাংলার এক বিখ্যাত প্রবাদ থেকেই গৃহীত — যার মানে গল্প সমাপ্ত হল । কিন্তু কবির নটেগাছটি মুড়য়নি , কারণ কথা অনুযায়ী চিরায়ত সত্যের বাণী – মাতৃভূমির প্রতি ফেলে আসা স্মৃতির কথা কোনদিন ফুরায় না । কবি কল্পনার সাঁকো বেয়ে স্মৃতির হাত ধরে পৌঁছে যান গ্রামজীবনের শৈশবের বেলাভূমিতে । ঘাসের গন্ধ গায়ে মাখা , আকাশের তারায় তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখা , যন্ত্রণার আগুন না – নেভা , দুঃখের বাসি না – হয়ে যাওয়া , সূর্যের ওঠা ও নামা এ সমস্ত কিছুর কিছুই ফুরায় না । নটেগাছ সেই কারণেই কবির কল্পনায় মুড়িয়ে যায়নি ।

৩.৫ .. আর আহারের সংস্থান রহিল না।– রাধারাণী ও তার মায়ের দুর্গতির চিত্র ‘রাধারাণী’ পাঠ্যাংশে কীভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা উদ্ধৃতাংশের আলােকে আলােচনা করাে। 

উত্তর: রাধারাণীর পিতা বিত্তবান হলেও আকস্মিক তার মৃত্যুর পর জনৈক মামলাবাজ জ্ঞাতির কারণে স্বামীর বাড়ি ভদ্রাসন থেকে বিতাড়িত সম্পূর্ণ সহায়সম্বলহীন রাধারাণীর মা ও রাধারাণীর কথাই উদ্ধৃতিটিতে বলা হয়েছে । রথযাত্রার আগে রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল , একেবারেই শয্যাশায়ী । এই অবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয় । অন্যদিকে রাধারাণী ছোটো, তার পক্ষেও উপার্জন অসম্ভব । ঘরেও সঞ্চিত আহার্য নেই , তাই তাদের আর আহার চলে না ।

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখা (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) :

৪.১ ‘নিরবধি সাতদিন বৃষ্টি নিরন্তর।” – এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গবাসীর জীবনকে কীভাবে বিপন্ন করে তুলেছিল তা আলােচনা করাে। 

উত্তর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে দেখা যায় কলিঙ্গে প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। দেবী তাঁর কৃপাধন্য ব্যাধ কালকেতু নির্মিত গুজরাট নগর বসতি প্রতিষ্ঠার জন্য কলিঙ্গে প্রলয় ঘটান। ফলে সেখানকার প্রজারা গুজরাটে চলে আসেন।

কলিঙ্গের আকাশে ঘন মেঘের সমাবেশ ঘটে। দেবীর আদেশে হঠাৎই ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূর দিগন্তে মেঘের গম্ভীর ধ্বনি সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। সমগ্র কলিঙ্গ মেঘের গম্ভীর আওয়াজে কেঁপে ওঠে। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে শস্য ক্ষেত ও সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়। আটটি দিক হস্তী যেন বৃষ্টি ধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়। প্রবল বর্ষণে পথঘাট জলমগ্ন হয়। ঘোর অন্ধকারে দিন-রাতের পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। বিপদ থেকে রক্ষা পেতে ভীত প্রজারা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। সাতদিন অবিরাম বর্ষণের ফলে প্লাবিত হয় কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি ও নষ্ট হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় আকারের শীল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশের বীর হনুমান ঝড়ের তান্ডব চালিয়ে মোটা অট্টালিকা ধ্বংস করে প্রজাদের আরো বিপদ গ্রস্থ করে তোলেন। সমস্ত নদনদী কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে দেবীর আদেশে। পর্বত তুল্য ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর মাটিতে পড়ে যায়। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় অবশেষে কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়।

৪.২ ‘চিঠি’ অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও। 

উত্তর: স্বামীজীর চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশীয ও বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই তিনি তাঁর শিষ্য মিস নোবেল এর কথা লিখেছেন। তাকে এই চিঠিটি তিনি লিখেছেন। মিস মার্গরেট ই নোবেল স্বামীজির কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শের ভারতের নারী সমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। কলকাতায় বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।মিস হেনরিয়েটা মুলার সাময়িকীকে বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলার এর বাড়িতে স্বামীজি কিছুদিন অতিথি হিসেবে ছিলেন। মিস মুলার আজন্ম মৈত্রী মনোভাবাপন্ন। স্বামীজি বলেছেন যে, তার কিছুটা রুক্ষ মেজাজি ও অস্থির চিত্ত; তবে তিনি আবার সহৃদয় অমায়িক।মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি খুব প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার খুবই স্নেহময়ী। তার স্বামী ক্যাপ্টেন জে.এইচ.সেভিয়া দম্পতির একমাত্র ইংরেজ যারা এ দেশীয়দের ঘৃণা করেন না। তবে এদের কোন নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী নেই। স্বামীজীর দুজন বন্ধু হলে মিস ম্যাকলাউড ও বোস্টনের মিসেস বুল। তারা খুবই উপকারী। স্বামীজীকে নানান কাজে সাহায্য করেছে ম্যাকলাউড, আর মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনের অনেক অর্থ সাহায্য করেছেন। স্বামীজি তাঁর একজন ইংরেজ ভক্ত মিঃ স্টার্ডির  কথা বলেছেন। তিনি স্বামীজীকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে সাহায্য করেছিলেন।

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) :

‘কর্ভাস যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম। – প্রােফেসর শঙ্কু কীভাবে সেই প্রমাণ পেয়েছেন? 

উত্তর: প্রফেসর শঙ্কু তার দিনলিপিতে কর্ভাস বেশ কিছু দরকারি তথ্য পােস্ট করেছেন। ২২ অক্টোববের দিনলিপিতে প্রফেসর শঙ্কু লিখেছেন, কর্ভাস এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়। বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতে একটি কাক মারা গেলে, সেখানে বহু কাকের সমাগম হলেও কর্ভাস তাদের সঙ্গে শামিল হয়নি। সে একমনে পেনসিল মুখে দিয়ে মৌলিক সংখ্যা লিখে চলেছে 2, 3, 5, 7, 11, 13 প্রভৃতি। এই দু-দিনের দিনলিপিতে কর্ভাসের শিক্ষানবিশের অনেক তথ্যই প্রকাশ করেছেন প্রফেসর শঙ্কু।

৬. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :

৬.১ ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি উদাহরণ দাও। 

উত্তর: চল্ ( গমন করা ) + ই ( নীচ ) = চালি 

৬.২ মৌলিক শব্দ বলতে কী বােঝ? 

উত্তর: সংস্কৃত থেকে যেসব শব্দ অবিকৃতভাবে বা পরিবর্তিত আকারে বাংলায় এসেছে , তাদের বলা হয় মৌলিক শব্দ ।

৬.৩ নবগঠিত শব্দকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী? 

উত্তর:  বাংলা শব্দভাণ্ডারে নবগঠিত শব্দ আবার দু – প্রকার 

১) মিশ্র বা সংকর শব্দ এবং 

২) অনুদিত শব্দ ।

৬.৪ তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ লেখাে। 

উত্তর: তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ হল – চুরুট , পিলে ( ছেলেপিলে ) ।

৬.৫ কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে কোন্ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে নির্দেশক সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয় । যেমন – ওটা রেখে দাও । 

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

৭. ভাবসম্প্রসারণ করাে :

‘ধর্মের নামে মােহ এসে যারে ধরে 
অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।

উত্তর: মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ । কিন্তু যখন ধর্ম মানুষের মধ্যে মোহ সৃষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে । যার জন্য নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনে তার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে । মানুষের মধ্যে আমাদের সমাজে ধর্ম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ মানুষ সব সময় ধর্ম নিয়ে বেশি সচেতন সে যেই ধর্ম হোক না । কখনো কখনো এই ধর্ম মানুষের মধ্যে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে যে সব সময় সব কিছুর মধ্যে ধর্ম খুঁজে । প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে নানান সংস্কার বিস্তার হয়ে আছে । মানুষ ধর্মের মধ্যে এমন ভাবে জর্জরিত হয়ে যায় যে সে অন্য কিছু বোঝার চেষ্টা করে না কেবলমাত্র ধর্ম ছাড়া । যার ফলে তার সেই ধর্মের অন্ধকার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে । ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে সচেতন হতে হবে । জাতি ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারো জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয় । তাই ধর্মকে ধর্ম হিসেবে নেওয়া উচিত তাকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া কখনই উচিত নয় । আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করার জন্য ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না ।

 

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

Class 7Model Activity Task Link :
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক গণিত
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইংরেজি
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইতিহাস
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক  স্বাস্থ ও শরীরশিক্ষা

Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8

Class 7 Model Activity Task English Part 8

[Part 8] Model Activity Task Class 9 Bengali Part 8 Combined

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন