[Part 8] Class 5 Model Activity Task Bengali Part 8 Combined-পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা
Model Activity Task
Class 5 (পঞ্চম শ্রেনী)
Bengali (বাংলা)
Part 8
[Part 8] Class 5 Model Activity Task Bengali Part 8 Combined
[Part 8] Class 5 Model Activity Task Bengali Part 8 Combined
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১ × ১০ = ১০
১.১ ‘আয়রে ছুটে ছােট্টরা’– ছােটোদের কেন ছুটে আসতে হবে?
উত্তর: শীতের প্রবল ভোরে গল্পবুড়োর কাছ থেকে নানারকমের রূপকথার গল্প শোনার জন্য ছোটদের ছুটে আসতে হবে ।
১.২ . আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।’—জোয়ানদের ঘাঁটিটি কোথায় ছিল ?
উত্তর: জোয়ানদের ঘাঁটিটি ছিল লাডাকের একটি বরফে ঢাকা নির্জন স্থানে।
১.৩ ‘দারােগাবাবু এবং হাবু’ কবিতায় মেজদার পােষ্য কারা?
উত্তর: ‘দারােগাবাবু এবং হাবু’ কবিতায় দারোগাবাবু এবং মেজদার আটটি কুকুর পোষ্য ছিল ।
১.৪ ‘উলগুলান’ কাদের লড়াই?
উত্তর: ‘উলগুলান’ বা বিদ্রোহ ছিল হিংস্র ইংরেজদের বিরুদ্ধে আদিবাসী মানুষদের লড়াই । I
১.৫ ‘কেউ করে না মানা। – কার কোন্ কাজে কেউ নিষেধ করে না?
উত্তর: মেঘেদের মেঘলা দিনে সমস্ত আকাশ জুড়ে কোন সীমানা না মেনে, দেশে দেশে ঘোরা ও খেলার কাজে কেউ নিষেধ করে না ।
১.৬ এবার আমাকে গােড়ার দিক দিতে হবে। – কী চাষের সময় কুমির একথা বলেছিল ?
উত্তর: ধান চাষের সময় কুমির বলেছিল- ‘এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে’ ।
১.৭ মাঠ মানে কী অথই খুশির অগাধ লুটোপুটি ! – ‘অথই’ এবং ‘অগাধ’ শব্দ দুটির অর্থ লেখাে।
উত্তর: ‘অথই’ শব্দটির অর্থ হলো তল নেই এমন গভীর । আর ‘অগাধ’ শব্দটির অর্থ হলো প্রচুর ।
১.৮ ‘ঝড়’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম লেখাে।
উত্তর: ‘ঝড়’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম হল- বকুল ও চাঁপা গাছ ।
১.৯ ‘ট্যাক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: দুটো ছোট নদী মিশে যাওয়ার সময় একটি ত্রিভুজ আকারের ভূমিখন্ড তৈরি হয়, এই ত্রিভুজ আকৃতির জমির মাথাটিকেই ট্যাক বলে ।
১.১০ ‘করুণা করি বাঁচাও মােরে এসে’ – কখন ফণীমনসা একথা বলেছে?
উত্তর: ছোট্ট ফনীমনসা গাছটি – চোরেরা তার সোনার পাতা ছিঁড়ে নিলে , ঝড়ে সমস্ত কাঁচের পাতা ভেঙে গেলে এবং ছাগল নরম কচি পাতা খেয়ে নিলে বনের পরির কাছে তাকে বাঁচানোর প্রার্থনা করেছে ।
২. নিজের ভাষায় উত্তর দাও : ২ × ১০ = ২০
২.১ ‘গল্পবুড়াে’ কবিতায় রূপকথার কোন্ কোন্ প্রসঙ্গ উল্লিখিত হয়েছে?
উত্তর: কবি সুনির্মল বসুর লেখা গল্পবুড়ো কবিতাটিতে রূপকথার দৈত্য – দানব, রাজপুত্র, পক্ষীরাজ, সার বাঁধা টাকার পাহাড়, চোখ ধাঁধানো হীরে – মানিক, ঝলমলে সোনার কাঠি, ময়নামতি দীঘির টলটলে জল, তেপান্তরের মাঠ, কেশবতী নন্দিনীর প্রসঙ্গ উল্লিখিত হয়েছে ।
২.২ এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।’—জোয়ানদের সেই শীতকাল যাপনের কথা কীভাবে বুনােহাঁস’ গল্পে ফুটে উঠেছে?
উত্তর: জোয়ানদের ঘাঁটিটি ছিল লাদাখের বরফে ঢাকা একটি নির্জন স্থানে । ‘বুনোহাঁস’ গল্পটিতে একটি ডানাতে চোট পাওয়া বুনোহাঁস ও তার একটি সাথী ঘটনাক্রমে আশ্রয় পেয়েছিল জোয়ানদের মুরগি রাখার খালি ঘরে । খুব আনন্দের সঙ্গেই জোয়ানরা ওদের দেখাশোনা করতো। তাদের যত্নে ধীরে ধীরে হাঁসটি সুস্থ হয়ে উঠতে থাকে । এভাবেই জোয়ানরা নিজেদের কাজ ও বুনোহাঁস দুটির দেখাশোনা করতে করতে সারাটা শীতকাল কাটিয়ে দিয়েছিল ।
২.৩ ‘নালিশ আমার মন দিয়ে খুব/ শুনুন বড়ােবাবু।—থানায় বড়ােবাবুর কাছে হাবু কী কী নালিশ জানিয়েছিল ?
উত্তর: হাবু থানাতে গিয়ে বড়বাবুকে বলেছিল তারা চার ভাই একসঙ্গে একটি ঘরের মধ্যে বাস করে । কিন্তু সেই ঘরের মধ্যেই বড়দা সাতটা বিড়াল, মেজদা আটটা কুকুর , সেজদা দশটা ছাগল পোষে । সেসবের গন্ধে তার প্রাণ যায় যায় অবস্থা । দাদাদের এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে হাবু থানাতে গিয়ে বড়বাবুর কাছে নালিশ জানিয়েছিল ।
২.৪ ‘এতােয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘােড়া।– উদ্ধৃতিটির আলােকে এতােয়ার কাজকর্মের পরিচয় দাও।
উত্তর: এতোয়া দশ বছরের একটি ছোট্ট দুরন্ত আদিবাসী ছেলে। সে গরু, মোষ চরায় । বাবুদের গরু, মোষ চরাতে চরাতে সে টোকো আম, শুকনো কাঠ, মেটে আলু, পুকুরের পাড় থেকে শাক প্রভৃতি সংগ্রহ করে । আবার কখনো সুবর্ণরেখার সরু চরে বাঁশে বোনা জাল পেতে মাছ ধরে । এই হল এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয় ।
২.৫ ‘বিমলার অভিমান’ কবিতা অনুসরণে বিমলার অভিমানের কারণ বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর: নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা ‘বিমলার অভিমান’ কবিতাটিতে বিমলার অভিমানের কারণ হল সারা দিন বাড়ির নানা কাজ, নানা প্রয়োজনে বিমলার ডাক পড়লেও খাওয়ার সময় তাকে কেউ ডাকে না, যেন সবাই তার কথা ভুলে যায়। এমনকি খাবারও দাদা ও ভাইয়ের থেকে তাকে অল্প দেওয়া হয় । তাই বিমলার অভিমান হয়েছে ।
২.৬ ছাদটা ছিল আমার কোতাবে- পড়া মরুভূমি…’—‘ছেলেবেলা’ রচনাংশে ছাদের প্রসঙ্গটি লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছেলেবেলা’ রচনাংশে – আমরা দেখতে পাই ছোট্ট রবি ঠাকুরের জীবনে তাদের বাড়ির ছাদটি ছিল এক বিশেষ আনন্দের জায়গা । লেখক ছাদ থেকে নিচের প্রকৃতি, মানুষদের কাজকর্ম লক্ষ্য করতেন এবং ছাদের চারিদিকের ধূ-ধূ শূন্যতা , হু-হু গরম বাতাসের ধুলো উড়ানো- এসব স্মরনের কারণেই রচনাংশটিতে ছাদের প্রসঙ্গ এসেছে ।
২.৭ তারি সঙ্গে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান’– কেমন দিনে কথকের ছেলেবেলার কোন্ গানটি মনে পড়ে?
উত্তর: মেঘলা বৃষ্টির দিনে কথক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের –
“বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ,
নদে এল বান ! “
– এই ছেলেবেলার গানটি মনে পড়ে ।
২.৮ ‘ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত বলাে। – বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে ব্যাঙ কী করেছিল?
উত্তর: ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ভগবানের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তাদের সমস্যাগুলি জানিয়ে সমাধান পাওয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য । যাত্রাপথে তার সঙ্গে মিলিত হয়েছিল মৌমাছি, মোরগ ও একটি বাঘ । নানা ঘটনাক্রম ও লড়াইয়ের অবশেষে ভগবানের সহায়তায় তারা খরা ও অনাবৃষ্টির হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করেছিল ।
২.৯ ‘ভেবে পাই নে নিজে’ – কবি কী ভেবে পান না?
উত্তর: কবি অশোকবিজয় রাহা ‘মায়াতরু’ কবিতায় এক মায়াবী গাছের কথা বলেছেন। সন্ধ্যের অন্ধকারে গাছটি ডালপালা নাড়িয়ে ভুতের মত নাচ করত। আবার যখন চাঁদ উঠত তখন চাঁদের আলোয় ঝাকড়া গাছটিকে দেখে মনে হত ভাল্লুক। বৃষ্টিতে ভেজার পর গাছের পাতায় জমে থাকা জলের উপর আলো পড়লে মনে হত সে বুঝি লক্ষ হীরের মাছের মুকুট পড়েছে। ভোরবেলার আবছায়াতে সেই গাছটিতে নানা আজব কাণ্ড ঘটত। এইসব অদ্ভুত কান্ডের রহস্যের কথাই কবি ভেবে উঠতে পারেন না।
২.১০ ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে সূত্রধারের ভূমিকা আলােচনা করাে।
উত্তর: ফনীমনসা ও বনের পরি` নাটকে সূত্রধারের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল । সূত্রধার শব্দটির অর্থ হলো- নাটকের প্রস্তাবক প্রধান নট । কাহিনীটি ফনীমনসা গাছ ও বনের পরিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও সমস্ত নাটকটিতে সূত্রধরের জন্যই দৃশ্যের বিবরণ, ঘটনার পরিবর্তনগুলি আমরা দেখতে পাই । তাই বলাই যায় -নাটকটিতে সূত্রধার এর ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল ।
৩. নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ১ × ৫ = ৫
৩.১ সন্ধি করাে :
৩.১.১ মিশি + কালাে
উত্তর: মিশি + কালাে = মিশকালো ।
৩.১.২ এত + দিন
উত্তর: এত + দিন = এদ্দিন ।
৩.১.৩ বড়াে + ঠাকুর
উত্তর: বড়াে + ঠাকুর = বট্ ঠাকুর
৩.১.৪ সৎ + গ্রন্থ
উত্তর: সৎ + গ্রন্থ = সদগ্রন্থ
৩.১.৫ দিক্ + নির্ণয়
উত্তর: দিক্ + নির্ণয় = দিঙনির্নয়
৩.২ নীচের পদগুলি ব্যঞ্জন সন্ধির কোন্ কোন্ নিয়ম মেনে বদ্ধ হয়েছে, লেখাে : ১ × ৫ = ৫
৩.২.১ প্রচ্ছদ
উত্তর: প্রচ্ছদ = প্র + ছদ ( অ + ছ যুক্ত হয়ে অচ্ছ ) ।
৩.২.২ প্রাগৈতিহাসিক
উত্তর: প্রাগৈতিহাসিক = প্রাক + ঐতিহাসিক ( ক + অ = গ )
৩.২.৩ সদিচ্ছা
উত্তর: সদিচ্ছা = সৎ + ইচ্ছা ( ত + ই = দি )
৩.২.৪ বিদ্যুদবেগ
উত্তর: বিদ্যুদবেগ = বিদ্যুৎ + বেগ ( ত + ব = দ্ )
৩.২.৫ পদ্ধতি
উত্তর: পদ্ধতি = পদ + হতি ( দ + হ = দ্ধ )