Class 7 Model Activity Task History Part 8-মডেল এক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণী Part 8

 

Class 7 Model Activity Task History Part 8-মডেল এক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণী Part 8

Model Activity Task (মডেল এক্টিভিটি টাস্ক) 

Sub:- History (ইতিহাস)

Class 7 (সপ্তম শ্রেণী) 

Part 8

Class 7 Model Activity Task History Part 8 Class 7 Model Activity Task History Part 8

 

class 7 model activity task history part 8 combined
১. ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
ক-স্তম্ভখ-স্তম্ভ
১.১ খলিফার অনুমােদন(ক) গিয়াসউদ্দিন বলবন 
১.২ সিজদা ও পাইবস(খ) কৃষ্ণদেব রায়
১.৩ বাজারদর নিয়ন্ত্রণ(গ) ইলতুৎমিশ
১.৪ আমুক্তমাল্যদ(ঘ) আলাউদ্দিন খলজি

উত্তর:

ক-স্তম্ভখ-স্তম্ভ
১.১ খলিফার অনুমােদন(গ) ইলতুৎমিশ
১.২ সিজদা ও পাইবস(ক) গিয়াসউদ্দিন বলবন 
১.৩ বাজারদর নিয়ন্ত্রণ(ঘ) আলাউদ্দিন খলজি
১.৪ আমুক্তমাল্যদ(খ) কৃষ্ণদেব রায়
class 7 model activity task history part 8 combined

 

২. বেমানান শব্দটির নিচে দাগ দাও :

২.১ বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র 

উত্তর: দন্তিদুর্গ  

২.২ বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড় 

উত্তর: কনৌজ

২.৩ হলায়ুধ, জয়দেব, গােবর্ধন, উমাপতিধর 

উত্তর: গােবর্ধন

২.৪ প্রতাপাদিত্য, কেদার রায়, ইশা খান, বৈরম খান 

উত্তর: বৈরম খান 

৩. শূন্যস্থান পূরণ করাে : 

৩.১ বন্দেগান-ইচিহলগানির সদস্য ছিলেন সুলতান ___________ ।

উত্তর: গিয়াসউদ্দিন বলবন ।

৩.২ বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন ___________ । 

উত্তর: সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ ।

৩.৩ পাের্তুগিজ পর্যটক ___________ বিজয়নগর পরিভ্রমন করেন। 

উত্তর: পেজ ।

৩.৪ বিজয়নগর পরাজিত হয়েছিল ___________ যুদ্ধে। 

উত্তর: ১৫৬৫ খ্রি: তালিকোটার ।

class 7 model activity task history part 8 combined

৪.. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে :

৪.১ ‘দাগ’ ও ‘হুলিয়া’ ব্যবস্থা চালু রাখেন শেরশাহ। 

উত্তর: সত্য 

৪.২ ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে হলদিঘাটির যুদ্ধে আকবর রানা প্রতাপকে পরাজিত করেছিলেন। 

উত্তর: সত্য 

৪.৩ মনসবদারি ও জায়গিরদারি ব্যবস্থা বংশানুক্রমিক ছিল।

উত্তর: মিথ্যা 

৪.৪ রাজিয়া তার মুদ্রায় নিজেকে ‘সুলতান’ বলে দাবি করেছেন। 

উত্তর: সত্য 

class 7 model activity task history part 8 combined

৫. দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

৫.১ ‘দীন-ই ইলাহি’ কী?

উত্তর: খ্রিস্টীয় ১৫৭০ – এর দশকে মুঘল সম্রাট আকবর ফতেপুর, সিকরিতে নানান ধর্মের গুরুদের ডেকে ধর্মীয় নানা বিষয়ে আলােচনা করতেন। এই সব আলােচনার ভিত্তিতে তিনি দীন – ই ইলাহি’ নামে এক নতুন – মতাদর্শ চালু করেন ফারসি শব্দ ‘দীন – ই – ইলাহি ‘-র অর্থ হলাে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস, আবুল ফজল ও বাউনি, এই ধর্মমতকে তৌহিদ – ই- ইলাহি বা স্বগীয় একেশ্বরবাদ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

আকবর বিভিন্ন ধর্ম থেকে নিজের পছন্দ মতাে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য | বেছে নিয়ে তার ওপর ভিত্তি কবে দীন-ই ইলাহি তৈবি কবেন। তিনি নিজের সভাসদদের মধ্যে এর প্রচলন করেছিলেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠান ও রীতিনীতির মধ্যে দিয়ে তারা বাদশাহের প্রতি | সম্পূর্ণ অনুগত থাকার শপথ নিত। এই হলাে দীন-ই-ইলাহি।

৫.২ ‘মনসব কী? 

উত্তর: আকবর সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযােজন করেন। সেটি ছিল তার মনসবদারি ব্যাবস্থা। আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হতাে মনসব।

class 7 model activity task history part 8 combined

Class 7 Model Activity Task Link :
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক গণিত
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইংরেজি
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইতিহাস
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক  স্বাস্থ ও শরীরশিক্ষা

class 7 model activity task history part 8 combined

 

৬. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

৬.১ পাল-সেন যুগে কেমন ভাবে কর আদায় করা হত? 

উত্তর: 

ভূমিকা : পাল ও সেনযুগে রাজারা বিভিন্ন ধরনের কর সংগ্রহ করতেন।

1. কৃষি কর : রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ (১/৬ ভাগ)। কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন। তাঁরা নিজেদের ভােগের জন্য ফুল, ফল, কাঠ ও প্রসাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতেন।

2. বাণিজ্য কর : বণিকরা তাদের ব্যাবসাবাণিজ্য করার জন্য বাসাকে কর দিত। 

3. অন্যান্য কর : এছাড়াও প্রজারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজাকে কর দিত। সমগ্র গ্রামের উপবেও কর দিতে হতাে গ্রামবাসীদের। হাট ও খেয়াঘাটের , উপবে কর চাপানাে

হতো৷

৬.২ সেন রাজারা কি সাহিত্যের পৃষ্ঠপােষক ছিলেন? 

উত্তর: বাংলার সেন বংশের রাজা লক্ষণ সেন ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। অনেক কবি ও সাহিত্যিক তাঁর রাজসভা অলংকৃত করতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন – 

(১) কবি জয়দেব: লক্ষণ সেনের সভাপতি জয়দেব ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক। তাঁর রচিত কাব্যের নাম হলাে “গীতগােবিন্দ’। এই কাব্যের বিষয় ছিল রাধাকৃষ্ণের প্রেমের কাহিনি। 

(২) ধােয়ী : তাঁর রাজসভার আর এক কবি ধােয়ী লিখেছিলেন ‘পবনদূত” কাব্য। 

(৩) পঞ্চরত্ন : জয়দেব ও ধােয়ীসহ আরও তিনজন গােবর্ধন, উনাপতি ধর এবং শরণ লক্ষণ সেনের সভা অলংকৃত করেছিলেন। এই পাঁচজন কবিকে একত্রে “পঞ্চব” বলা হয়।

এছাড়াও লক্ষণ সেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষ  “ব্রাহ্মণ সর্বস্ব” নামে একটি বই লিখেছিলেন। লক্ষণ সেন নিজেও পিতার অসমাপ্ত “অদ্ভুতসাগর” বইটি সমাপ্ত করেন।

৬.৩ ইকতা ব্যবস্থা কী? 

উত্তর: নির্দিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা সুলতানের নির্দেশে রাজস্ব আদায় করার অধিকার পেতেন। পরবর্তীকালে সাম্রাজ্যের আয়তন বেড়ে গেলে সুলতানরা যে সব রাজ্য জয় করতেন, সেই | রাজ্যগুলির দায়িত্ব এক একজন সামরিক নেতার উপর দিতেন। এই রাজ্যগুলিকে এক একটি প্রদেশে ধরে নেওয়া হত, এগুলিকে বলা হত ইকতা৷ ইকতার দায়িত্বে যিনি থাকতেন তাকে বলা হত ইকতাদার বা ওয়ালি ।

class 7 model activity task history part 8 combined
৬.৪ খলজি বিপ্লব বলতে কী বােঝ?

উত্তর: ১২৯০ খ্রিঃ হিন্দুস্থানি মুসলিমদের নেতা ও সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি জালালউদ্দিন খলজি বলবনের বংশধর অসুস্থ কায়কোবাদ ও শিশু কায়ুমার্সকে হত্যা করে দিল্লির সুলতান হন| এই ঘটনাকে বলা হয় “খলজি বিপ্লব’| এর ফলে দিল্লিতে তুর্কি অভিজাতদের ক্ষমতা চলে যায়| তার বদলে খলজি তুর্কি ও হিন্দুস্তানিদের ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছিল।

৬.৫ ‘দাক্ষিণাত্য ক্ষত’ বলতে কী বােঝাে?

উত্তর: খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে ঔরঙ্গজেবের সময়ে মারাঠাদের

শক্তি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ঔরঙ্গজেব ভেবেছিলেন যে দক্ষিণী 1 রাজ্যগুলিকে জয় করতে পারলে সেখানে থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যাবে। তার সঙ্গে মারাঠাদের দমন করাও সহজ হবে। ঔরঙ্গজেবের আমলে মুঘলরা বিজাপুর ও গোলাকোন্ডা দখল করেছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের আয়তন এত বড়াে আগে। কখনাে হয়নি। কিন্তু বাদশাহ যা ভেবেছিলেন তা হলাে না। তার বদলে বহু বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুঘলদের অনেক আর্থিক ক্ষতি | হলাে। দাক্ষিণাত্য যুদ্ধের এই ক্ষত আর সারলাে না। মারাঠা। নেতা শিবাজীকেও স্বাধীন রাজা বলে মেনে নিতে হলাে।

ঔরঙ্গন্ধোন পেষে দা পঁচিশ বছর ধবে যুদ্ধ কবে ঔরঙ্গজেব শেষে | দাক্ষিণাত্যেই মারা গেলেন (১৭০৭ খ্রিঃ)

 

৭. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও : 

৭.১ বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল? 

উত্তর:  বখতিয়ার খলজি বাংলা আক্রমন করলে লক্ষণ সেন কোন প্রতিবােধ না করে পূর্ববঙ্গে চলে যান। ফলে বখতিয়ার খলজি সহজে বাংলা দখল করে নেন। তিনি লক্ষণাবতী অধিকার করে নিজের রাজধানী স্থাপন করেন। এই শহরকে সমকালীন ঐতিহাসিকরা লখনৌতি বলেছেন। এরপর বখতিয়ার খলজি তার রাজ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন। প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। এরা ছিলেন তার সেনাপতি। তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা এবং সুফি সাধকদের আস্তানা তৈরি করেন। তার আমলে রাজ্যের সীমানা উত্তরে দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর, দক্ষিনে পাদ্মানদী, পূর্বে তিস্তা ও করতােয়া নদী, এদের পশ্চিমে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।।

৭.২ কৃষ্ণদেব রায়কে কেন বিজয়নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়? 

উত্তর: কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিজয়নগরেব রাজ্যের বিখ্যাত শাসক। তার রাজত্বকালে বিজয়নগরের গৌরব সবথেকে বেড়েছিল। সে সময়ে সাম্রাজ্যের সীমা বেড়েছিল। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার হয়েছিল। এছাড়াও শিল্প-সাহিত্য, সংগীত এবং দর্শনশাস্ত্রের উন্নতি তার সময় লক্ষ্য করা যায়। কৃষ্ণদেব রায় নিজেও একজন সাহিত্যিক ছিলেন। তেলেগু ভাষায় লেখা আমুক্তমাল্যদ গ্রন্থে তিনি রাজার কর্তব্যের কথা লিখেছেন। রাজা কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক। কিন্তু তা সত্বেও খ্রিস্টান মুসলমান বৌদ্ধ শিখ জৈন প্রভৃতি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরাও স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মাচরণ পালন করতে পারত। | বিজয়নগরের রাজাদের মধ্যে তিনি সর্বাপেক্ষা পন্ডিত এবং সর্বোত্তম একজন মহান শাসক এবং সুবিচারক সাহসী সর্বগুনম্বিত | ছিলেন, একথা বলেছিলেন পর্তুগিজ পর্যটক পেজ। এই সমস্ত কারণগুলাের জন্যই কৃষ্ণদেব রায়কে বিজয় নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়।

৭.৩ শেরশাহের যে-কোনাে দুটি প্রশাসনিক সংস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখাে।

উত্তর: 

ভূমিকা – সম্রাট শের শাহ ছিলেন বিজেতা হিসেবে শ্রেষ্ঠ, আর শাসক হিসেবে শ্রেষ্ঠতম। দিল্লির শাসক হিসেবে তিনি মাত্র ৫ বছর (১৫৪০-১৫৪৫ খ্রি.) রাজত্ব করেছিলেন। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই শাসনব্যবস্থার সর্বত্র তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তাঁর শাসনব্যবস্থার মধ্যে অনেক মানবিক চিন্তার পরিচয় পাওয়া যায়৷ 

ভূমিরাজস্ব : ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শের শাহ অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ ব্যবস্থা চালু করেন। শের শাহ কৃষককে কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার এবং তাকে কত রাজস্ব দিতে হবে তা লিখে যে দলিল দিতেন, তাকে পাট্টা বলা হত। পাট্টাপ্রাপ্ত কৃষকরা রাজস্ব দেওয়ার কথা স্বীকার বা কবুল করে সরকারকে যে দলিল সই করে দিত, তাকে কবুলিয়ত বলা হত।

যােগাযােগ ব্যবস্থা : যােগাযােগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুদীর্ঘ ও প্রশস্ত রাজপথ নির্মাণ শের শাহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তিনি পূর্ববঙ্গের সােনারগাঁ থেকে পেশােয়ার পর্যন্ত ১৪০০ মাইল দীর্ঘ পথ নির্মাণ করেন, যা সড়ক-ই আজমস’ বা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রােড বা জি টি রােড নামে পরিচিত। তিনি আগ্রা থেকে বুবহানপুর ও আগ্রা থেকে যােধপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করেন। তিনি পথিক ও বণিকদের সুবিধার জন্য রাস্তার ধারে ধারে অনেক সবাইখানা নির্মাণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম ঘােড়ার পিঠে ডাক আদানপ্রদানের ব্যবস্থা করেন।

 

৭. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও : 

৭.১ বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল? 

উত্তর:  বখতিয়ার খলজি বাংলা আক্রমন করলে লক্ষণ সেন কোন প্রতিবােধ না করে পূর্ববঙ্গে চলে যান। ফলে বখতিয়ার খলজি সহজে বাংলা দখল করে নেন। তিনি লক্ষণাবতী অধিকার করে নিজের রাজধানী স্থাপন করেন। এই শহরকে সমকালীন ঐতিহাসিকরা লখনৌতি বলেছেন। এরপর বখতিয়ার খলজি তার রাজ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন। প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। এরা ছিলেন তার সেনাপতি। তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা এবং সুফি সাধকদের আস্তানা তৈরি করেন। তার আমলে রাজ্যের সীমানা উত্তরে দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর, দক্ষিনে পাদ্মানদী, পূর্বে তিস্তা ও করতােয়া নদী, এদের পশ্চিমে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।।

৭.২ কৃষ্ণদেব রায়কে কেন বিজয়নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়? 

উত্তর: কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিজয়নগরেব রাজ্যের বিখ্যাত শাসক। তার রাজত্বকালে বিজয়নগরের গৌরব সবথেকে বেড়েছিল। সে সময়ে সাম্রাজ্যের সীমা বেড়েছিল। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার হয়েছিল। এছাড়াও শিল্প-সাহিত্য, সংগীত এবং দর্শনশাস্ত্রের উন্নতি তার সময় লক্ষ্য করা যায়। কৃষ্ণদেব রায় নিজেও একজন সাহিত্যিক ছিলেন। তেলেগু ভাষায় লেখা আমুক্তমাল্যদ গ্রন্থে তিনি রাজার কর্তব্যের কথা লিখেছেন। রাজা কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক। কিন্তু তা সত্বেও খ্রিস্টান মুসলমান বৌদ্ধ শিখ জৈন প্রভৃতি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরাও স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মাচরণ পালন করতে পারত। | বিজয়নগরের রাজাদের মধ্যে তিনি সর্বাপেক্ষা পন্ডিত এবং সর্বোত্তম একজন মহান শাসক এবং সুবিচারক সাহসী সর্বগুনম্বিত | ছিলেন, একথা বলেছিলেন পর্তুগিজ পর্যটক পেজ। এই সমস্ত কারণগুলাের জন্যই কৃষ্ণদেব রায়কে বিজয় নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়।

৭.৩ শেরশাহের যে-কোনাে দুটি প্রশাসনিক সংস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখাে।

উত্তর: 

ভূমিকা – সম্রাট শের শাহ ছিলেন বিজেতা হিসেবে শ্রেষ্ঠ, আর শাসক হিসেবে শ্রেষ্ঠতম। দিল্লির শাসক হিসেবে তিনি মাত্র ৫ বছর (১৫৪০-১৫৪৫ খ্রি.) রাজত্ব করেছিলেন। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই শাসনব্যবস্থার সর্বত্র তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তাঁর শাসনব্যবস্থার মধ্যে অনেক মানবিক চিন্তার পরিচয় পাওয়া যায়৷ 

ভূমিরাজস্ব : ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শের শাহ অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ ব্যবস্থা চালু করেন। শের শাহ কৃষককে কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার এবং তাকে কত রাজস্ব দিতে হবে তা লিখে যে দলিল দিতেন, তাকে পাট্টা বলা হত। পাট্টাপ্রাপ্ত কৃষকরা রাজস্ব দেওয়ার কথা স্বীকার বা কবুল করে সরকারকে যে দলিল সই করে দিত, তাকে কবুলিয়ত বলা হত।

যােগাযােগ ব্যবস্থা : যােগাযােগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুদীর্ঘ ও প্রশস্ত রাজপথ নির্মাণ শের শাহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তিনি পূর্ববঙ্গের সােনারগাঁ থেকে পেশােয়ার পর্যন্ত ১৪০০ মাইল দীর্ঘ পথ নির্মাণ করেন, যা সড়ক-ই আজমস’ বা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রােড বা জি টি রােড নামে পরিচিত। তিনি আগ্রা থেকে বুবহানপুর ও আগ্রা থেকে যােধপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করেন। তিনি পথিক ও বণিকদের সুবিধার জন্য রাস্তার ধারে ধারে অনেক সবাইখানা নির্মাণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম ঘােড়ার পিঠে ডাক আদানপ্রদানের ব্যবস্থা করেন।

class 7 model activity task history part 8 combined
class 7 model activity task history part 8 combined

 

Class 7 model activity task Science part 8 combined

 

 

Class 7Model Activity Task Link :
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক গণিত
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইংরেজি
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইতিহাস
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক  স্বাস্থ ও শরীরশিক্ষা

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন