[Part 8] Class 6 Model Activity Task Bengali Part 8- ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা

 

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8- ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা (Allindjob.com)

Model Activity Task

Class 6 (ষষ্ঠ শ্রেণী) 

Sub:- Bengali 

Part 8

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November [Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November

Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : 

১.১ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় ‘শুকনো খড়ের আঁটি’ রয়েছে 

( ক ) অশ্বত্থ গাছের নীচে

( খ ) মাঠে 

( গ ) গোলাঘরে

( ঘ ) নৌকার খোলে

উত্তর: ( ঘ ) নৌকার খোলে

১.২ ‘তাকে আসতে বলবে কাল।’ — আসতে বলা হয়েছে

( ক ) শংকর সেনাপতিকে 

( খ ) অভিমুন্য সেনাপতিকে 

( গ ) বিভীষণ দাস কে

( ঘ ) পঞ্চানন অপেরার মালিক কে

উত্তর: ( খ ) অভিমুন্য সেনাপতিকে 

 ১.৩ ‘আকাশে নয়ন তুলে’ দাঁড়িয়ে রয়েছে

 ( ক ) বনু পাহাড়

 ( খ ) মরুভূমি 

 ( গ ) প্রভাত সূর্য

 ( ঘ ) পাইন গাছ

উত্তর: ( ঘ ) পাইন গাছ

১.৪ ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা 

( ক ) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী 

( খ ) অরুণ মিত্র 

(গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়

( ঘ ) অমিয় চক্রবর্তী 

উত্তর: (গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়

১.৫ পূর্ববঙ্গের মাহুতের ভাষায় ‘মাইল’ শব্দের অর্থ 

( ক ) পিছনে যাও 

( খ ) সাবধান 

( গ ) বস

( ঘ ) কাত হও  

উত্তর: ( খ ) সাবধান 

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November

২. খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 

২.১ ‘ ও তো পথিকজনের ছাতা ’ – পথিকজনের ছাতা কোন্‌টি ? 

উত্তর:  ‘ভরদুপুরে’  কবিতাটিতে পথিকজনের ছাতা বলতে একটি অশথ গাছ কে বোঝানো হয়েছে ।

২.২ “ এখানে বাতাসের ভিতর সবসময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে । ‘ – কেন এমনটি হয় ?

উত্তর:  শংকর – দের বিদ্যালয়টি বঙ্গোপসাগরের পাঁচ – সাত মাইলের মধ্যেই অবস্থিত । তাই পাগলা বাতাসের ভিতর সবসময় ঢেউয়ের ভিজে জলের ঝাপটা উড়ে আসে ।

 ২.৩ ‘ মন – ভালো – করা ’ কবিতায় কবি রোদ্দুরকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন ? 

উত্তর:  ` মন ভালো করা ‘ কবিতায় কবি রোেদ্দুরকে- একটি মাছরাঙা পাখির শরীরের সঙ্গে তুলনা করেছেন ।

২.৪ আমি কথা দিয়ে এসেছি ’ – কথক কোন কথা দিয়ে এসেছেন ?

উত্তর:  কথক অরুণ মিত্র বৃষ্টির দিনে আবার ভিজে ঘাসের উপর দিয়ে হেঁটে ঘাসফড়িং টির সাথে দেখা করতে আসবে ; এই কথা দিয়ে এসেছেন ।

 ২.৫ ‘ ভাদুলি ’ ব্ৰত কখন উদযাপিত হয় ?

উত্তর: বর্ষাকালের শেষের দিকে মেয়েরা ভাদুলি ব্রত উদযাপন করে ।

 ২.৬ সন্ধ্যায় হাটের চিত্রটি কেমন ? – কে এমন স্বপ্ন দেখে ? কেন সে এমন স্বপ্ন দেখে ?

উত্তর:  সন্ধ্যায় হাটের চিত্রটি দিনের বেলার জনপূর্ন হাটের থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত । সন্ধার হাট প্রদীপহীন অন্ধকার , নিশ্চুপ- নির্জনতায় ভরা ।

 ২.৭ কোন্ তিথিতে রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসব গো – বন্দনা , অলক্ষ্মী বিদায় , কাঁড়াখুঁটা , গোরুখুটা প্রভৃতি পালিত হয় ?

উত্তর:  কালীপূজা অর্থাৎ কার্তিকের অমাবস্যা তিথিতে রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবি সমাজের প্রাচীন উৎসব গো – বন্দনা , অলক্ষী বিদায় , কাঁড়াখুটা , গোরুখুঁটা প্রভৃতি পালিত হয় ।

২.৮ ‘ কেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা – কবি কার চলার কথা বলেছেন ?

উত্তর:  কবি অমিয় চক্রবর্তী তাঁর পিঁপড়ে কবিতায় ছোট ছোট পিঁপড়েদের ব্যস্তভাবে সারি দিয়ে চলার কথা বলেছেন ।

 ২.৯ ‘ সে বাড়ির নিশানা হয়েছে আমগাছটি’— ‘ফাঁকি’ গল্পে গোপালবাবু কীভাবে তার বাড়ির ঠিকানা জানাতেন ? 

উত্তর:  গোপাল বাবুকে কেউ তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন– কাঠজোড়ি নদীর ধার বরাবর পুরীঘাট পুলিশের ফাঁড়ির পশ্চিমদিকে যেখানে পাঁচিলের মধ্যে আমগাছ দেখবেন- সেইখানে আমাদের বাড়ি ।

২.১০ ‘ তুমি যে কাজের লোক ভাই ! ওইটেই আসল ’ । কে , কাকে , কখন একথা বলেছিল ? 

উত্তর:  উদ্ধৃত উক্তিটি ঘাসের পাতা –পিঁপড়েকে বলেছিল । বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য পিঁপড়েটি ঘাসের পাতাকে ধন্যবাদ জানালে সেই সময় ঘাসের পাতা এই উক্তিটি করেছিল ।

Model activity task class 6 part 8 bengali

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

 ৩.১ ‘ দাঁড়ায়ে রয়েছে পামগাছ মরুতটে । ’  কে এমন স্বপ্ন দেখে ? কেন সে এমন স্বপ্ন দেখে ?

উত্তর:  দাঁড়ায়ে রয়েছে পামগাছ মরুতটে ‘ পাইন গাছ এমন স্বপ্ন দেখে । 

• পাইন গাছ শীতল জলবায়ুতে জন্মায় । সারা জীবন তাকে প্রবল ঠান্ডা সহ্য করতে হয় । উষ্ণতার অপ্রাপ্তির কারণেই পাইন গাছ তপ্ত বালুকারাশির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা পামগাছের স্বপ্ন দেখে ।

৩.২ ‘ … তাই তারা স্বভাবতই নীরব । ‘ – কাদের কথা বলা হয়েছে ? তারা নীরব কেন ?

উত্তর:  এই উদ্ধৃতাংশটিতে বন্যপ্রাণীদের নীরব থাকার কথা বলা হয়েছে ।

    জঙ্গলে শিকারী প্রাণীরা অসতর্ক হলে তারাও শিকারে পরিণত হয় । অযথা আওয়াজ করে শত্রুদের তারা আমন্ত্রণ করে না । নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই তারা স্বভাবত নীরব থাকে ।

৩.৩ ‘ এরা বাসা তৈরি করবার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয় । ‘ – উপযুক্ত স্থান খুঁজে নেওয়ার কৌশলটি ‘ কুমোরে – পোকার বাসাবাড়ি ‘ রচনাংশ অনুসরণে লেখো । 

উত্তর:  কুমোরে পোকারা ডিম পাড়ার সময় হলে বাসা তৈরীর জন্য উপযুক্ত স্থান খোঁজে । কোন স্থান পছন্দ হলে তার আশেপাশে বারবার ঘুরে তারা দেখে নেয় স্থানটি । এরপর খানিক দূর উড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসে , স্থানটিকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে নেয় । দুই- তিনবার এভাবে পরীক্ষা করার পর কোন সমস্যা না থাকলে তারা বাসা বানানোর জন্য কাদামাটির সন্ধানে বের হয় ।

৩.৪ ‘ ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য । ‘ – ‘ মরশুমের দিনে ’ গদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো । 

উত্তর:  লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘ মরশুমের দিনে ‘ গদ্যাংশটিতে ধান কেটে নেওয়ার পর প্রকৃতির রুক্ষ- শুষ্ক রূপের বর্ণনা করেছেন । বসু প্রকৃতির সুন্দর রূপ পরিবর্তিত হয়ে সেসময় চারিদিকে শুষ্ক – রুক্ষ , কঙ্কালসার মাটি দেখা যায় । নদী পুকুর খাল বিল শুকিয়ে যায় । গাছের পাতা থাকে না।জলের জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে যায় ।

৩.৫ দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্র ‘ হাট ’ কবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো ।

উত্তর:  দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্র কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ভিন্নভাবে দেখিয়েছেন তাঁর কবিতায় । দিনের হাট কোলাহলমুখর । সেখানে নানা মানুষ নানা সময়ে বেচাকেনা করতে হাজির হয় । 

      অপরদিকে রাতের পটভূমিতে আকাঁ হাট নিঃস্ব , বিষন্ন মনে নির্জনতার মাঝে- রাত্রির অন্ধকারে ডুবে থাকে ।

 ৩.৬ ‘ মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র ‘ রচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে ?

উত্তর:  জ্যামিতির আকারকে আশ্রয় করে এবং বিভিন্ন রং দিয়ে রচিত হয় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রগুলি । মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র ‘ রচনায় আমরা দেখতে পাই- তাদের দেয়ালচিত্র গুলিতে সমান্তরাল রেখা চতুষ্কোন ও ত্রিভুজের ছড়াছড়ি । তারা এই জ্যামিতিক আঁকারগুলি এঁকে তার উপরে সাদা , আকাশি , গেরুয়া বা হলুদ রং দিয়ে সেগুলো সাজিয়ে তোলে । জ্যামিতিক আকার ও রঙের সংমিশ্রণ- এই হল সাঁওতালদের দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা ।

Model activity task class 6 part 8 bengali

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November

Class 6 Model Activity Task Link :
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক গণিত
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইংরেজি
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইতিহাস
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা

 

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November

 

 ৩.৭ ‘ পিঁপড়ে ’ কবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে । আলোচনা করো ।

উত্তর: ‘ পিঁপড়ে কবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবি অমীয় চক্রবর্তীর গভীর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।কবি সারিবদ্ধ ছোট পিঁপড়েদের চলাফেরা মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করেছেন তবে তিনি তাদের চলাফেরায় বাধা দিতে চাননি ; কারন তিনি চান না তাদের কষ্ট দিতে । তাদের চলাফেরার মধ্যে কবি জীবনের চঞ্চল ভাবটুকুকে অনুভব করেছেন ।

 ৩.৮ ‘ ফাঁকি ’ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ , নিরপরাধ আমগাছ ।’— উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য ?

উত্তর:  ‘ ফাঁকি ‘ গল্পে একটি আমগাছকে লেখক প্রধান চরিত্র হিসেবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন । গোপালের বাবা বাড়ির কারো কথা না শুনে পাঁচিলের ধারে একটি আমগাছ লাগিয়েছিলেন । পরবর্তীকালে সেই গাছ সবার বড় প্রয়োজনের হয়ে ওঠে । সমস্ত গল্পটিতে অন্যান্য চরিত্রগুলি আমগাছটিকে কেন্দ্র করেই বিকশিত হয়েছে । ফল , পাতা , ডাল- ছায়া দেওয়া গাছটি হঠাৎ ঝড়ে ভেঙে গেলে সেটি ঘিরেও অন্যান্যদের মানসিক পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায় । তাই বলাই যায় উদ্ধৃতিটি বিশেষভাবে সমর্থনযোগ্য ।

 ৩.৯ ‘ পৃথিবী সবারই হোক ।’— এই আশীৰ্বাণী ‘ আশীর্বাদ ‘ গল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে ? 

উত্তর: ‘ আশীর্বাদ গল্পে বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে পিঁপড়েটি পাতাকে বলেছিল – আমরা মাটির গর্তেই ভালো থাকি , এই গর্তের বাইরের পৃথিবীটি শুধুই তোমাদের । ভীত পিঁপড়েকে সাহস জুগিয়েছিল পাতা , বৃষ্টি ও জল । তাদের কথোপকথনের মধ্যেই বৃষ্টি শেষ হয়ে আকাশে সূর্য দেখা যায় । তাদের কথোপকথন ও সূর্যের আগমন আশীর্বাদ গল্পে এই পৃথিবী সবারই হোক — এই আশীর্বাণী ধ্বনিত করেছে ।

৩.১০ ´ … এমন অভূতপূর্ব অবস্থায় আমায় পড়তে হবে ভাবিনি ‘ । – গল্পকথক কোন অবস্থায় পড়েছিলেন ?

উত্তর:  ‘ গল্পকথক শিবরাম চক্রবর্তী একবার সাইকেলে হুড়ুর দিকে যেতে যেতে টায়ার খারাপ হয়ে যাওয়ায় এক জনমানবহীন , জংলি স্থানে আটকে পড়েছিলেন । সন্ধ্যার মুহূর্তে এক চলন্ত বেবি অস্টিন গাড়িতে তাড়াতাড়ি উঠে বসেন লেখক । গন্তব্যস্থল বলতে বলতে ভয়ে তিনি চমকে ওঠেন , সামনে চালকের স্থানে কেউ নেই ! ইঞ্জিন বন্ধ কিন্তু গাড়ি চলছে ! তিনি ভাবলেন তিনি ভুতের খপ্পরে পড়েছেন । সেই শীতেও লেখকের ঘাম দেখা গিয়েছিল । গল্পকথক এই অবস্থারই সম্মুখীন হয়েছিলেন ।

Model activity task class 6 part 8 bengali

৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :

৪.১ বিসর্গসন্ধিতে বিসর্গ রূপান্তরিত হয়ে ‘ র্ ’ হচ্ছে – এমন দুটি উদাহরণ দাও ।

উত্তর:

নিঃ + দেশ = নির্দেশ । 

প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ ।

৪.২ বিসর্গসন্ধিতে বিসর্গ লুপ্ত হয়ে আগের স্বরধ্বনিকে দীর্ঘ করছে – এমন দু’টি উদাহরণ দাও । 

উত্তর:

নিঃ + রস = নীরস ।

নিঃ + রোগ = নীরোগ ।

৪.৩ উদাহরণ দাও – জোড়বাঁধা সাধিত শব্দ , শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ জুড়ে সাধিত শব্দ ।

উত্তর: জোড় বাঁধা সাধিত শব্দের উদাহরণ :: দেশ বিদেশ । শব্দ খন্ড বা সাধিত শব্দাংশ জুড়ে শব্দের উদাহরণ :- উপকার ।

৪.৪ সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দের পার্থক্য কোথায় ? 

উত্তর: সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যা বোঝায় ; কিন্তু পূরণবাচক শব্দ শুধুমাত্র সংখ্যাগত ক্রমিক অবস্থান বোঝায় ।

৪.৫ সন্ধি বিচ্ছেদ করো- নিরঙ্কুশ 

উত্তর: নিঃ + অঙ্কুশ = নিরঙ্কুশ l

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November

৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

৫.১ শব্দজাত , অনুসর্গগুলিকে বাংলায় কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী ? 

উত্তর: শব্দজাত অনুসর্গগুলিকে বাংলায় তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ; সেগুলি হল – 

( 1 ) সংস্কৃত বা তৎসম অনুসর্গ 

( 2 ) তদ্ভব অনুসর্গ 

( 3 ) বিদেশি অনুসর্গ ।

৫.২ উপসর্গের আরেক নাম ‘ আদ্যপ্রত্যয় ’ কেন ? 

উত্তর:  প্রত্যয় শব্দটির অর্থ হলো মূল শব্দের সঙ্গে যে শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ তৈরি করে , এবং মূল শব্দের প্রথমে বসে যে প্রত্যয় শব্দটির অর্থ বদলে দেয় তাকে আদ্যপ্রত্যয় বলে । উপসর্গের কাজটিও সেই রকম , তাই উপসর্গের আরেক নাম হল আদ্যপ্রত্যয় । 

[Part 8] Model Activity Task Class 6 Bengali Part 8 Combined November

৫.৩ ‘ ধাতুবিভক্তি ’ বলতে কী বোঝ ?

উত্তর: ক্রিয়াপদের মূল অংশকে ধাতু বলে । এই ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গড়ে উঠলে- সেটিকে আমরা ধাঁতু বিভক্তি বলি । যেমন : 

কর ( ধাতু ) + এ ( বিভক্তি ) = করে । ( ধাতু বিভক্তি )

 ৫.৪ শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও আশা / আসা , সর্গ / স্বর্গ 

উত্তর: 

আশা = ভরসা , আকাঙ্ক্ষা ।

আসা = আগমন করা । 

সর্গ = অধ্যায় , গ্রন্থের পরিচ্ছদ । 

স্বর্গ = দেবলোক ।

৫.৫ পদান্তর করো জগৎ , জটিল

উত্তর:

জগৎ = জাগতিক । 

জটিল = জটা ।

৬. অনধিক ১০০ শব্দে অনুচ্ছেদ রচনা করো : বাংলার উৎসব

উত্তর:

বাংলার উৎসব

ভূমিকা: ‘বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ’—বাঙালি জাতির উৎসবপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই এই কথার প্রচলন হয়েছে।পরকে আপন করে নেওয়ার দুর্লভ গুণ বাঙালির সহজাত—আর উৎসব মানেই তো তাই, পারস্পরিক মিলন, ভাবের আদানপ্রদান। সেই কারণেই হয়তো বাঙালির জীবনে উৎসবের এই প্রাধান্য।দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি যখন মানুষকে ক্লান্ত করে তোলে, তখন সেই প্রাত্যহিকতায় এক ঝলক মুক্ত হাওয়া বয়ে আনে উৎসব। রোজকার রুটিন-বাঁধা জীবন থেকে ছাড়া পেয়ে সবাই তাই খুশিতে মেতে ওঠে। উৎসব তাই আমাদের মানসিক পরিচর্যা ঘটিয়ে আবার নতুন উদ্যমে কাজের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

বিভিন্ন উৎসব:  উৎসবপ্রিয় বাঙালির উৎসবের জন্য কোনো বিশেষ উপলক্ষ্য লাগে না। প্রাণের উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালির উৎসবগুলিকে তাও কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়—জাতীয় উৎসব, ঋতু উৎসব, ধর্মীয় উৎসব, সামাজিক ও পারিবারিক উৎসব।

             জাতীয় উৎসবগুলি হল—স্বাধীনতাদিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, মহাত্মা গান্ধির জন্মদিন। এই দিনগুলিতে সমগ্র ভারতবর্ষের সঙ্গে বাঙালিও উৎসবে মেতে ওঠে। এ ছাড়া আছে নেতাজির জন্মদিন, রবীন্দ্রজয়ন্তী ইত্যাদিও। এইগুলি বাঙালির নিজস্ব জাতীয় উৎসব।বাঙালির উৎসবের একটা বড়ো অংশ জুড়ে আছে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব। তার মধ্যে যেমন আছে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো, রাস উৎসব, রথযাত্রা, সরস্বতী পুজো, বাসন্তী পুজো, গুরুপূর্ণিমা, তেমনি আছে ইদ-উল-ফেতর, ইদুজ্জোহা, মহরম, বড়োদিন প্রভৃতি। সাম্প্রদায়িকতা কখনওই বাঙালির উৎসবমুখরতার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারেনি। একজনের আনন্দ কীভাবে পাঁচজনের আনন্দ হয়ে উঠতে পারে তার সফল দৃষ্টান্ত বাঙালির সামাজিক উৎসবগুলি।বাংলা কৃষিপ্রধান দেশ—তাই নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসব সে পালন করে নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে। তবে প্রাকৃতিক উৎসবগুলি অনেক সময়ই উপস্থাপিত হয় ধর্মীয় মোড়কে। যেমন—নতুন শস্য রোপণের উৎসবটির প্রতীক হিসেবে পালিত হয় ইতুলক্ষ্মীর ব্রত উৎসব। এ ছাড়া বসন্ত যখন চারদিক রাঙিয়ে তোলে তখন বাঙালিও নিজেদের রাঙিয়ে নেয় দোল উৎসবের মধ্য দিয়ে।

উপসংহার:- প্রতিদিনের গতানুগতিক জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ এনে দেয় উৎসব। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে একসাথে মেতে উঠতে পারি আমরা। বাঙালিদের জীবনে উৎসবের প্রয়োজন ও গুরুত্ব তাই অপরিসীম।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন