(পশ্চিমবঙ্গ সরকার ) Model Activity Task Class 10 Geography Part 7 - ভূগোল

 (পশ্চিমবঙ্গ সরকার )Model Activity Task Class 10 Geography Part 7- ভূগোল 

Model Activity Task

Class 10

Sub:- Geography(ভূগোল )

Part 7

Model Activity Task Class 10 Geography Part 7



১। বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো ঃ

১.১ মরু অঞ্চলের শুষ্ক নদীখাত হলো -

(ক) প্লায়া

(খ) হামাদা

(গ) মরূদ্যান

(ঘ) ওয়াদি

উত্তরঃ (ঘ) ওয়াদি

১.২ যে ক্ষয়কারী প্রক্রিয়া নদীর ক্ষয়কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় সেটি হলো -

(ক) অবঘর্ষ

(খ) অপসারণ

(গ) ঘর্ষণ

(ঘ) দ্রবণ

উত্তরঃ (খ) অপসারণ

১.৩ উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রবাভ লক্ষ করা যায় -

(ক) শীতকালে

(খ) হায়দ্রাবাদ

(গ) বেঙ্গালুরু

(ঘ) চেন্নাই

উত্তরঃ (ক) শীতকালে

Model Activity Task Class 10 Geography Part 7

২। একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও ঃ

২.১ বায়ুর প্রবাহপথে আড়াআড়ি অবস্থিত বালিয়াড়ি কী নামে পরিচিত?

উত্তরঃ বায়ুর প্রবাহপথে আড়াআড়ি অবস্থিত বালিয়াড়ি বার্খান বালিয়াড়ি নামে পরিচিত।

২.২ হিমবাহের উৎপাটন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপের নাম লেখো।

উত্তরঃ হিমবাহের উৎপাটন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপের নাম হলো করি বা সার্ক।

২.৩ ভারতের উপদ্বীপীয় মালভূমির একটি স্তুপ পর্বতের নাম লেখো।

উত্তরঃ ভারতের উপদ্বীপীয় মালভূমির একটি স্তূপ পর্বতের নাম সাতপুরা পর্বত।

২.৪ ভারতের কোন্‌ মৃত্তিকা কার্পাস চাষের পক্ষে আদর্শ?

উত্তরঃ কৃষ্ণ বা রেগুর মৃত্তিকা কার্পাস চাষের পক্ষে আদর্শ।

৩। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ঃ

৩.১ বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ

বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা গ্রহণের প্রধান উদ্দেশ্য গুলি হল –

  •  এই পরিকল্পনার ফলে শুষ্ক অঞ্চলে জলসেচ প্রদানের মাধ্যমে কৃষি কাজ করা সম্ভব হয়।
  • নদীর উপরে বাঁধ তৈরি করে তার ওপর গাছ রোপন করার ফলে ভূমিক্ষয় অনেকখানি প্রতিরোধ হয়।
  •  এই পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে নদী উপত্যকায় বন্যা প্লাবনের সম্ভাবনা অনেকখানি হ্রাস পায়।

৩.২ ভারতীয় কৃষির সমস্যা সমাধানের যে কোনো দুটি উপায় উল্লেখ করো।

উত্তরঃ

ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থার যে সমস্ত প্রধান সমস্যা দেখা যায় তা সমাধানের উপায়গুলি হলো-

  • কৃষিজ ফসলের উৎপাদন চাহিদামতো বাড়ানোর জন্য উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার করা।
  •  ধাপ চাষ, সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ, উন্নত কৃষি ব্যাবস্থার প্রয়োগ করে মৃত্তিকায় প্রতিরোধ করতে হবে যাতে ফলে ফসল উৎপাদনের হার বাড়ে।
  • কৃষিজ ফসলের ক্ষতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার একান্ত প্রয়োজনীয় ।

৪। নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও ঃ

৪.১ 'ভারতীয় পরিবহণ ব্যবস্থায় সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম' - বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

উত্তরঃ

পৃথিবীর যেকোন উন্নয়নশীল কথা উন্নত দেশের মুখ্য পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন প্রধান। ভারতের ক্ষেত্রেও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।

ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থায় সড়ক পথের গুরুত্ব :-

ক) দ্রুত পরিবহণ : সড়কপথে যেকোনো হালকা পণ্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে সহজেই সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যায়।

খ) কাঁচামাল সংগ্রহ : শিল্পের প্রয়োজনে গ্রাম থেকে কৃষিজ কাঁচামাল নিয়ে আসা, খনি থেকে কয়লা এবং খনিজ পদার্থ নিয়ে শিল্পকেন্দ্রে সহজেই পাঠানো যায়।

গ) নির্মাণ ব্যয় কম : রেলপথের তুলনায় সড়কপথের নির্মাণ ব্যয় কম। তাই ভারতের মতো দেশে সড়কপথের বিকাশ ঘটলে অর্থনীতির ওপর কম চাপ পড়বে।

ঘ) পার্বত্য যোগাযোগ নির্মাণ: উত্তর ভারত তথা ভারতের পার্বত্য অঞ্চল গুলিতে রেলপথ নির্মাণ অসম্ভব তাই এই সমস্ত পার্বত্য অঞ্চলের সাথে সঠিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়কপথ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

Model Activity Task Class 10 Geography Part 7

৫। নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও ঃ

৫.১ ভারতের জননন্টনের তারতম্যের প্রাকৃতিক কারণগুলি বর্ণনা করো।

উত্তরঃ

 ভারত বিপুল জনসংখ্যার দেশ হলেও ভারতে জনসংখ্যার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হলো অসম বন্টন। ভারতের জনসংখ্যা অসম বন্টন এর পেছনে প্রাকৃতিক তথা অপ্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণ রয়েছে-

ক) ভূপ্রকৃতি : হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর ও পাথুরে বলে কৃষিকাজের অনুপযুক্ত। এইসব অঞ্চল তাই জনবিরল। অপরদিকে, উত্তর ভারতের সমভূমি এবং উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল কৃষি, পরিবহন ব্যবস্থা, শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নত হওয়ায়, এইসব অঞ্চলের জনঘনত্ব খুব বেশি।

খ) নদনদী: উত্তর ভারতের গঙ্গা, সিন্ধু ও ব্রহ্মপুত্র এবং দক্ষিন ভারতের মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, প্রভৃতি নদী উপত্যকা অঞ্চলের জনসংখ্যা বেশি। কারণ এইসব নদী থেকে খুব সহজেই জলসেচ, জলনিকাশি, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জলপথে পরিবহন, পানীয় জলের সরবরাহ, মৎস্য চাষ প্রভৃতি নানা সুবিধা পাওয়া যায়।

গ) জলবায়ু: উত্তর ও পূর্ব ভারতের সমভূমি অঞ্চলে অনুকূল জলবায়ুর জন্য জনঘনত্ব বেশি। অপরদিকে, রাজস্থানের মরু অঞ্চলে বা গুজরাতের কচ্ছ অঞ্চলে শুল্ক জলবায়ুর জন্য জনঘনত্ব কম।

ঘ) মাটি: ভারতের যেসব স্থানের মৃত্তিকা উর্বর ও চাষযোগ্য সেখানে জনবসতির ঘনত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি। যেমন দাক্ষিণাত্যের লাভা অঞ্চলে উর্বর কৃষ্ণ মৃত্তিকার জন্য এবং গঙ্গা, সিন্ধু ও ব্রহ্মপুত্র, মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা প্রভৃতি নদী উপত্যকা এবং বদ্বীপ অঞ্চলে উর্বর পলিমাটির জন্য জনঘনত্ব বেশি।

ঙ) অরণ্য: পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে এবং পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে গভীর অরণ্যের জন্য লোক বসতি কম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন